কুমির খামার এখন যেমন
মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল ২০১১
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে: ভালুকার কুমির খামার এখন ধ্বংসের মুখে। লাভজনক এ খামারের শতাধিক কুমির গত এক মাসে মরে গেছে। বহু কুমির এখন মৃত্যুর দিন গুণছে। এর মধ্যে শুরু হয়েছে মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব। অপরদিকে কুমির রপ্তানিও বন্ধ রয়েছে। অথচ এ খামারের ৪৯ শতাংশের মালিক বাংলাদেশ ব্যাংক। লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র দেখভালের অভাবে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক তদন্তে ব্যবস্থাপনা ত্রুটি থাকায় খামারটি ধ্বংসের প্রমাণ মিলেছে। খামারটির চারপাশের বেড়া ভেঙে গেছে, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মীও নেই। এহেন অবস্থায় যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেডেট খামারে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪৯ শতাংশ, মেজবাউল হকের ৩৬ শতাংশ এবং মুশতাক আহম্মেদের ১৫ শতাংশ শেয়ার আছে। বর্তমানে খামারটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দুটি দায়িত্ব পালন করছেন মেজবাউল হক। আর পরিচালক হিসেবে রয়েছেন মুশতাক আহম্মেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি হিসেবে সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালক পৃথিশ কুমার। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশাল বিনিয়োগে ২০০৪ সালে ভালুকা উপজেলার হাতিবেড় গ্রামে প্রায় ১৪ একর জমিতে রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড প্রথম বাণিজ্যিক কুমির খামার গড়ে তোলে। শুরুতে মাত্র ৭৫টি কুমির দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও খামারের কুমিরের ডিম থেকে কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চা ফুটিয়ে বর্তমানে প্রায় ৯০০ কুমির রয়েছে সেখানে। ২০১০ সালে জার্মানিতে ৭০ লাখ টাকায় ৬৭টি কুমির বিক্রির মধ্য দিয়ে লাভের মুখ দেখে প্রতিষ্ঠানটি। খামারের পরিচালক মুশতাক আহম্মেদ বলেন, তার অভিজ্ঞতা ও মেধা দিয়ে খামারটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। আর কুমির পালন অভিজ্ঞতাহীন খামারের চেয়ারম্যান মেজবাউল হকের মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণেই ধ্বংস হতে যাচ্ছে কুমির খামারটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন